ফেসবুকে সহায়তার পোস্ট দেখে অসহায় শিক্ষার্থীর পাশে হাসিঘর ফাউন্ডেশন!

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
গত নভেম্বর ফেসবুকে এ.বি মালেক নামের এক ব্যাক্তির একটা সহায়তার পোস্ট দেখে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি শাকিল সিকদার। শাকিল সিকদার বলেন, এ.বি মালেক নামের এক ব্যাক্তির ফেসবুক পোস্টে দেখতে পাই একটা ছোট্ট ছেলে মাটিতে বস্তার উপর বসে খালি গায়ে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করছে।আমি পোস্ট দেখার পর আমার খুব মন খারাপ হয়ে পড়ল। পরপরই আমি তার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে আমার ছোট ভাইকে (*মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, প্রতিষ্ঠাতা হাসিঘর ফাউন্ডেশন) জানাই, এবং আমার কথানুযায়ী সে খোঁজ খবর নেয়, ছেলেটির নাম তানবীর বয়স ১১ বছর কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৩নং হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে তার বাড়ি। ২৯ নভেম্বর বিকেলে তার বাসায় যায়,এবং তার মা-বাবার সাথে কথা বলি। পরে তাকে নিয়ে তার যা যা প্রয়োজনীয় (চেয়ার,টেবিল,খাতা,কলম, বই+সকল ধরনের ১ বছরর শিক্ষাসামগ্রী),শার্ট,প্যান্ট,জুতা। এবং সে যা যা নিতে চেয়েছে সব নিয়ে দেই। আলহামদুলিল্লাহ সে অনেক খুশি এবং তার পরিবারের সবাই ও খুশি। আমাদের সমাজে দেখা যায় এইরকম কিছু সামান্য সুযোগ সুবিধার অভাবে এইরকম অনেক বাচ্চা-ই অল্প বয়সে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে।কারণ তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোই। কারণ তারা অভাবের তাড়নায় শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পায় না।অল্প একটু সুযোগ-সুবিধা পেলেই হয়তো তারা এগিয়ে যাবে বহুদূর।

এভাবে যদি আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি তাহলে ইনশাআল্লাহ দেশে আর কেউ অভাব-অনটনে থাকবেনা। দেশে কোন শিশু বিনাশিক্ষায় বড় হবে না। শিশুশ্রম রোধ হবে।
আসুন শিশুশ্রম রোধ করি,সোনার বাংলাদেশ গড়ি